২০২০ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এ সময় দলটির আয় কমেছে ৫১ শতাংশ এবং ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। টানা তিন বছর দলটির ব্যয় বাড়লো।
আজ রোববার দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে জমা দেওয়া বার্ষিক আয়-ব্যয় ও লেনদেন বিবরণীতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।
ইসি সচিবের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার পর আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের জানান, ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা। যা ২০১৯ সালের আয়ের চেয়ে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭ টাকা কম। সে হিসাবে ২০১৯ সালের চেয়ে আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। ২০১৯ সালে দলটি আয় করেছিল ২১ কোটি ২ লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা।
আয় কমে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, ২০২০ সালে মনোনয়নপত্র বিক্রি বাবদ অর্থ আগের বছরের তুলনায় কম হয়েছে। আয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে-বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের চাঁদা, মনোয়ন ফরম বিক্রি ও বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অনুদান ইত্যাদি।
আব্দুস সোবহার গোলাপ জানান, ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা। যা ২০১৯ সালের চেয়ে ব্যয়ের চেয়ে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ টাকা বেশি। সে হিসাবে ২০১৯ সালের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। ২০১৯ সালে দলটির ব্যয় ছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা।
ব্যয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা, বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় প্রার্থীদের অনুদান, পত্রিকা-প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট খরচ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দলের ব্যয় বেড়েছে। ব্যয়ের প্রধান খাতের মধ্যে রয়েছে-অফিস রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালনা ব্যয় ও ত্রাণ সমগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা ব্যয়।
বর্তমানে দলটির তহবিলে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা জমা রয়েছে বলেও জানান আব্দুস সোবহান।
জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা।